ছবি
আসলে SEO মানে কি? এবং কিভাবে করবেন এই বিষয় নিয়ে আগে আমার এই ব্লগে বিস্তরিত ভাবে আলোচনা করছি। তবে, আজকে আমি আপনাদের বলবো One Page SEO কি? কিভাবে অন পেজ এসইও করবেন।
আজকের এই One Page SEO কি আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে সঠিক ভাবে One Page SEO কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্ন ব্যাপারটা জেনে যাবেন। (One Page SEO Bangla)
আসলে One Page SEO কি? এবং one page seo এর ব্যপারে কথা বললে ব্লগের আর্টিকেলে ব্যবহার করাটা যথেষ্ট না। মানে যখন One Page SEO techniques এর কথা বলা হয়, তখন সম্পর্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ব্যবহার করাটা কিন্ত অনেক জরুলি।
তাই আপনি যদি নিজের সফল ব্লগিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তাহালে এসইও (SEO) সম্পর্কে আল্প / আধা জ্ঞান রাখলে চলবে না। অন পেজ এসইও সম্পর্কে আপনাকে পূর্ন জ্ঞান রাখতে হবে যদি আপনি ব্লগে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা অন্যান্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিক পরিমানে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পেতে চান।
আপনি আমি সবাই জানি অন পেজ এসইও টেকনিক ব্যবহার করে আমরা নিজের বা বায়ানের ব্লগ বা ওয়েবসাইট এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য সুন্দর ভাবে অপটিমাইজ (optimize) করতে পারি। যার ফলে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ থাকে।
তাহালে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি One Page SEO কি? বা কাকে বলে এবং কোনন কোন ব্লগে এসইও অপটিমাইজেশন করতে পারবো সেই ব্যাপারে সম্পর্ন জেনে আসি।
One Page SEO কি?
বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে ব্লগিং এর জন্য সফল ক্যারিয়ার তৈরি করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়াছে। কারণ, বর্তমানে ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়, টফিক বা নিশ (niche) নিয়ে হাজার হাজার ভালো ভালো কনটেন্ট (content) সহজে পাচ্ছেন ভিজিটর্সরা।
এজন্য আপনি যদি search engine optimization এর সম্পর্কে সর্তক না হন তাহালে ব্লগে গুগল সার্চ থেকে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক আসা যথেষ্ট কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আপনি যদি কিওয়ার্ড রিচার্স করে ভালো ভালো ইউনিক কনটেন্ট লিখে সঠিক ভাবে এসইও টেকনিক গুলোর ব্যবহার করেন তাহালে গুগল সার্চ থেকে ভালো পরিমানে ট্রাফিক পেতে পারেন। মনে রাখবেন, One Page SEO যতো ভালো ভাবে করতে পারবেন ততো বেশি সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর্স পাবার সম্ভবনা থাকবে।
মূলত অন পেজ এসইও এর কাজ হলো বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর জন্য অপটিমাইজ করা। আর এই অপটিমাইজ টেকনিক গুলো শুধুমাএ ব্লগের মধ্যে সীমিত থাকে। আর এই ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে সীমিত থাকা সেই seo techniques ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সে গুলোকে বলা হয় One Page SEO techniques.
এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ব্লগের বিষয়, তথ্য এবং কনটেন্ট গুলোকে ভালো ভাবে বুঝতে পারে। আসলে এখানে One Page SEO কি? বা কাকে বলে সেটা আরো ভালো ভাবে জানার জন্য SEO মানে কি এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
এসইও (SEO) কি? (What is SEO bangla tutorial)
SEO কে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আসলে এসইও হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কিছু অপটিমাইজেশন টেকনিক ব্যবহার করে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর্স বা ট্রাফিক দের পরিমান বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
সহজ ভাবে বললে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলোকে এমন ভাবে অপটিমাইজেশন করা হয়, যাতে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলোর কিওয়ার্ড, বিষয় বা টফিক গুলো সহজে বুঝতে পারে।
যার ফলে, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার ব্লগের আর্টিকেল গুলো কখন এবং কোন কিওয়ার্ড ও সার্চ টার্মস (search terms) এর পরিবর্তে সার্চ ইঞ্জিনে দেখানে হবে সেটা সহজে বুঝতে পারে।
উদাহরণ,
ধরুন আপনি ব্লগে একটি আর্টিকেল লিখছেন SEO মানে কি, এক কথায় seo বিষয় নিয়ে সম্পর্ন আর্টিকেল লিখছেন। এখন আর্টিকেলটি এসইও কি, এসইও কাকে বলে, এসইও টিপস, অন পেজ seo, এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল এই সকল কিওয়ার্ড গুলো টার্গেট করেছি।
এখন আপনি এটাই চাইবেন যে কেই যদি আপনার টার্গেট করা One Page SEO কি এই কিওয়ার্ড নিয়ে গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে তখন গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে যাতে seo নিয়ে আমার লেখা এই আর্টিকেলটি দেখানো হয়।
আসলে seo হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনকে সহজে বুঝাতে পারি আমার লেখা আর্টিকেলটি এসইও এর বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। যার ফলে আমরা খুব সহজে গুগল সার্চ বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে ভিজিটর্স পেয়ে যায়।
কিন্ত মনে রাখবেন, আপনি যদি ব্লগ ও ব্লগের আর্টিকেলটিতে সঠিক ভাবে এসইও এর ব্যবহার না করেন তাহালে গুগল আপনার আর্টিকেলের বিষয় বা টফিক কি সেটা সঠিক ভাবে বুঝতে পারবে না। যার ফলে আপনার ব্লগে ভালো কোয়ালাটির আর্টিকেল থাকলে ও গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স আসার সম্ভবনা খুব কম থাকবে।
তাই আপনি যদি ২০২১ সালে এসে ব্লগিং করে সফলতার কথা ভাবেন তাহালে One Page SEO কি? এবং কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয় সেটা সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আশাকরি সহজে বুজতে পারছেন, seo কিভাবে কাজ করে।
ব্লগে কিভাবে One Page SEO করবেন?
এখান থেকে প্রায় ৪-৫ বছর আগে One Page SEO বলেতে আমরা কেবল ব্লগের আর্টিকেলে প্রচুর পরিমানে কীওয়ার্ড এর ব্যবহার করা এটা ভাবতাম। ব্লগের আর্টিকেলে এই সীমাহীন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগল সার্চ অনেক সহজে সিগন্যাল দিতে পারতাম।
এছাড়া তেমন আর কিছু করার প্রয়োজক হতে না। কিন্ত বর্তমানে প্রযুক্তি যতটা উন্নত হচ্ছে ততো বেশি উন্নত হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন বোট গুলোও। যার ফলে ২০২১ সালে এসে ব্লগের আর্টিকেলে সীমাহীন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে এসইও করা চলবে না। এটাকে বলা হয় over keyword optimization বা keyword stuffing.
আপনি যদি ব্লগের আর্টিকেলে সীমাহীন কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহালে প্রথমে গুগল থেকে ট্রাফিক পেলেও ৩-৪ মাস পর থেকে অবশ্যই penalize করবে। এজন্য over keyword optimize করা আর্টিকেল গুলোকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আর কখনো দেখাবে না।
তাই অন পেজ এসইও বলতে ব্লগের আর্টিকেলের সাথে জড়িত কীওয়ার্ড গুলো সীমিত ভাবে এবং জরুলি জায়গাই ব্যবহার করতে হবে। আর এটাকে বলা হয় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল।
১. Optimizing content for search intent
অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন মানে হলো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করা। কিন্ত ইন্টারনেটে ৮০% আর্টিকেলে আপনি পাবেন one page seo মানে আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় টার্গেট করে কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলকে জানিয়ে দেওয়া।
এই প্রক্রিয়া একটা সময় কাজ করতো কিন্ত বর্তমানে আর কাজ করবে না। কারণ বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বোট অনেক উন্নত হয়ে গেছে। যার ফলে আপনি আর্টিকেলে কি লিখছেন সেটা সহজে বুঝতে পারে।
এজন্য ব্লগে অধিক পরিমানে কীওয়ার্ড ব্যবহার না করে ইউজার গুগল সার্চের মাধ্যমে কোন বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন সেটার উপর ধ্যান দিয়ে সুন্দর করে বিস্তরিত ভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে,
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবো?
প্রথমে নিজের ব্লগে আর্টিকেলের সাথে জড়িত আলদা আলদা keyword, বাক্য, শব্দ ও সার্চ টার্মস আর্টিকেলে ব্যবহার করতে হবে। মনে করুন, আমি একটি আর্টিকেল লিখছি What is seo in bangla টফিক নিয়ে।
এখন আপনি যদি আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় শুধু what is seo in bangla কীওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করার চেষ্টা করেন তাহালে এটা আপনার ২০২১ সালে ব্লগিং ক্যারিয়ারের সব চেয়ে বড় ভুল।
কেননা এই ধরনের আর্টিকেল গুলোকে গুগল ভেবে নেয় low quality এবং over optimized content. যার ফলে গুগল সার্চ থেকে কোনো ট্রাফিক আসার সম্ভবনা থাকে না।
আমি যে ভাবে আর্টিকেল seo optimization করি
আমি যদি এসইও কি এই বিষয়টি নিয়ে নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখি তাহালে এসইও কি এই কীওয়ার্ডটি বার বার না ব্যবহার করে এর সাথে কিছু রিলেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করি আর্টিকেলের মধ্যে।
যেমন, “এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল”, “এসইও কাকে বলে”, “এসইও কিভাবে করতে হয়”, “অন পেজ এসইও কাকে বলে”, “এসইও টিপস”, “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”, “বাংলা এসইও কোর্স”, “search engine optimization” ইত্যাদি এই সকল কীওয়ার্ড গুলো আলদা আলদা ব্যবহার করি।
এখানে আপনি যদি focused keyword এর সাথে জড়িত কিছু related keywords ব্যবহার করতে পারবেন তাহালে ৩ টি বড় সুবিধা পাবেন। যেমন,
# এর ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সহ অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো সহজে আপনার লেখা আর্টাকেলের বিষয়টা বুঝতে পারবে।
# আমি যেহেতু seo এর আর্টিকেল নিয়ে বিভিন্ন রিলেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছি এজন্য গুগল তার সার্চ রেজাল্টে seo বিষয়ে আমার এই আর্টিকেলটি রেংক করার সুযোগ বেশি থাকবে।
# আসলে এসইও এর নতুন প্রক্রিয়াটিতে কখনো টার্গেট করা কীওয়ার্ড বেশি বার ব্যবহার করবেন না, এতে আর্টিকেলটি over keyword optimization হয়ে যায় এবং গুগল আপানার লেখা আর্টিকেলটি কখনো penalize করবে না।
২. ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড বাড়ান
আমাদের মধ্যে ৮৫% ব্লগাররা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড নিয়ে কখনো মাথা ব্যাথা করে না। অনেক সময় এমন ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাকলিংক করেছে যে ওয়েবসাইট ওপেন হতে অনেক সময় নিচ্ছে।
অনেকে আছে আমার মতো স্লো ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় মোবাইলে back button টিপে সার্চ রেজাল্টের অন্য পেজে চলে গিয়ে ভিজিট করি। তাছাড়া গুগল নিজে ও এই সকল স্লো লোডিং স্পিড ওয়েবসাইট গুলো কে ভাল পায় না। কারণ, ওয়েবসাইট খুলতে অনেক বেশি সময় লোড নিচ্ছে যেটা অনেক বিরক্তিকর।
এজন্য ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড বর্তমানে গুগলের অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ রেংকি ফেক্টার (ranking factor) হিসাবে ধরা হয়। আবার one page seo এর গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি অংশ হিসাবে page speed কে ধরা হয়।
তাই প্রথমে নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পিড চেক করুন। ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করার জন্য আপনারা google page speed insights, gtmetrix, tools pingdom এই টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আপনারা gtmetrix দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট চেক করে দেখুন, যদি পেজ লোডিং স্পিড এর full loading speed ২ থে ৩ সেকেন্ডের মধ্যে হয় তাহালে সেটাকে খারাপ বলা যাবে না।
আর যদি পেজ লোডিং স্পিড ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয় তাহালে লোডিং স্পিড এর জন্য আপনাকে কাজ করতে করাতে হবে। কারণ গুগল কখনো একটি স্লো লোডিং ওয়েবসাইট পছন্দ করতে না। তাছাড়া স্লো লোডিং স্পিড ওয়েবসাইট গুলো গুগল থেকে ৭৫% ভিজিটর্স আসার সম্ভবনা কমে যায়।
ওয়বসাইটের পেজ লোডিং স্পিড কিভাবে বৃদ্ধি করবেন?
আপনি নিজে নিজে আপনার ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। তবে, তার জন্য আপনাকে কিছু speed optimization techniques অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এই টেকনিক গুলো আমি নিচে বলে দিচ্ছি।
# ব্লগের আর্টিকেলের জন্য ইমেজ আপলোড করার সময় অবশ্যই মনে করে প্রতিটা ইমেজ compress করে নিতে হবে। এর জন্য আপনারা এই compressjpeg.com ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
# সব সময় ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ইমেজ আপলোড করার সময় ৫০kb এর নিচে ইমেজ আপলোড করার চেষ্টা করবেন।
# ভালো একটি হোস্টিং কোম্পনির হোস্টিং ব্লগে ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন হোস্টিং সার্ভার যত বেশি ভালো থাকবে ততো দ্রুত পেজ গুলো লোড হবে।
# যদি পারেন তাহালে অবশ্যই CDN (content delivery network) ব্যবহার করুন। CDN ব্যবহার করার জন্য cloudflare ব্যবহার করা অনেক বেশি সুবিধা জনক।
# সব সময় পরিস্কার, দ্রুত থিম ব্যবহার করবেন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাহালে generatepress, genesis framework, wpastra থিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই থিম গুলো ওয়ের্ডপ্রেস সাইটের জন্য দ্রুত এবং সেরা থিম হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
# আপনি যদি ওয়ের্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করে ব্লগটি ব্যবহার করছেন তাহালে অবশ্যই caching plugin ব্যবহার করুন।
# আপনার ওয়ের্ডপ্রেস ওয়েবসাইট আরো বেশি ফাস্ট করার জন্য অবশ্যই WP Rocket, W3 Total cache, WP super cache, WP-optimize, WP fastest cache ইত্যাদি প্লাগিন গুলো থেকে যে কোনো একটি প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন। আমি নিজে WP Rocket plugin ব্যবহার করছি আমার এই ওয়ের্ডপ্রেস ব্লগের জন্য।
তাহালে বন্ধুরা আপনারাও এই ছোট ছোট কিছু টেকনিক ব্যবহার করে নিজেদের ওয়েবসাইট গুলোর পেজ লোডিং স্পিড ফাস্ট করে নিতে পারবেন। এটা One page seo এর জন্য খুবই জরুলি।
৩. আটিকেলে ফোকাস কীওয়ার্ড টার্গেট এর ব্যবহার
আমি আগেই বলেছি আর্টিকেলে টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুলো বার বার ব্যবহার করা যাবে না। তবে, আর্টিকেলের মধ্যে বিশেষ কিছু জায়গায় টার্গেট করা কীওয়ার্ড ব্যবহার করা কিন্ত অনেক লাভজনক।
তাহালে এখন প্রশ্ন হলো আর্টিকেলের মধ্যে টার্গেট করা keywords গুলো কোথায় কোথায় ব্যবহার করবে হবে?
উত্তরঃ
- প্রথমে আর্টিকেলের টাইটেলে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- এবার আর্টিকেলের Permalink URL এ keyword ব্যবহার করতে হবে।
- এবার আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফ এ কমপক্ষে দুইবার কীওয়ার্ডটি লিখতে হবে।
- ব্লগের আর্টিকেল H2, H3 এবং H4 ট্যাগ গুলোর মধ্যে এক থেকে দুই বার টার্গেট করা কীওয়ার্ডটি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
এভাবে আর্টিকেলের মধ্যে বিশেষ কিছু জায়গায় আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝাতে হবে কোন বিষয়ের উপর আপনার আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। যার ফলে আপনার কনটেন্ট গুলো ভালো search engine optimize হয়ে যাবে।
৪. ফটোতে ALT Tags ব্যবহার করুন
আমরা ব্লগে যখন ফটো (photo) ব্যবহার করি তখন আসলে গুগল বুঝতে পারে না সে গুলোর ব্যাপারে। তাই আর্টিকেলের ফটো গুলো ব্যাপারে গুগলকে বুঝাতে হলে অবশ্যই ALT Tags ব্যবহার করতে হবে।
এতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে ছবিটি কিসের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে google search engine থেকে সহজে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া one page seo এর জন্য ছবিতে alt tag ব্যবহার করাটা জরুলি।
আপনি যদি ছবির এই alt tag এর জায়গায় নিজের টার্গেট করা কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করেন তাহালে আপানার আর্টিকেলটি আরো ভালো ভাবে seo optimize হয়ে যাবে।
৫. সহজ ভাষাতে সেরা আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন
মনে রাখতে হবে আপনি যে আর্টিকেলটি লিখছেন সেটা যেন অন্য আর্টিকেলের থেকে সেরা ও উন্নত মানে হয়। কারণ, একই টফিক নিয়ে ইন্টারনেটে হাজার হাজর তথ্য বা কনটেন্ট রয়েছে। এজন্য আপনার লেখা গুলো পড়তে বা বুঝতে যদি কঠিন হয়ে যায় তাহালে ব্লগে আসা ভিজিটর্সরা ফিরে যাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।
যার ফলে আপনার ব্লগের আর্টিকেলের উপার High bounce rate এর প্রভাব পড়বে। যা seo এর জন্য অনেক খারাপ। এজন্য আপানার লেখা আর্টিকেল গুলো অনেক সজহ ভাষাতে লিখতে হবে যাতে সবাই সহজে বুঝে পড়তে পারে।
তাছাড়া সব সময় ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন এতে ভিজিটর্সদের বুঝতে এবং পড়তে সুবিধা হবে। আমি যেমন ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখেছি। যত বেশি সময় নিয়ে ভিজিটর্সরা পড়বে ততো বেশি high bounce rate রেট কমে আসবে। এর ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিকেল রেংকি করবে।
৬. ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করুন
আপনারা হয়তো আমার প্রতিটা আর্টাকেলে কিছু ইন্টারনাল লিংক (internal link) দেখছেন। একটি লক্ষ করলে এই আর্টিকেলের ভিতরে ও রয়েছে। নিজের আর্টিকেল লেখার সময় কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত অন্য আর্টিকেলের লিংক প্রক্রিয়া করাকে বলা internal linking of articles.
উদাহরণ,
মনে করুন, আপনি ব্লগিং নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। এখন ব্লগিং নিয়ে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আগে যদি কোনো কনটেন্ট লেখা থাকে তাহালে সেই লিংকটা অবশ্যই এখানে দিতে পারেন। এতে ভিজিটর্সরা সহজে একই বিষয়ে আরো জ্ঞান নিতে পারবেন।
এসইও এর ক্ষেএে এভাবে আর্টিকেলে ইন্টারলিংকং করাটা অনেক জরুলি ও লাভজনক। এতে ব্লগের আর্টিকেলে থাকা পেজ গুলোর মধ্যে seo link juice pass হতে থাকে এবং ইন্টারনাল ব্যাকলিংক তৈরি করা হয়। এবার আশাকরি ইন্টারনাল লিংক কি এবং কিভাবে করতে হয় সহজে বুঝতে পারছেন।
৭. নিয়মিত কনটেন্ট / আর্টিকেল পাবলিশ করুন
আপনি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে মাসে কয়টি করে আর্টিকেল পাবলিশ করছেন সেটার দিকে ও কিন্ত আপনার ধ্যান দিতে হবে। কারণ, Google সব সময় পছন্দ করে যারা নিয়মিত ভাবে হাই-কোয়ালিটি আর্টিকেল পাবলিশ করেন তাদের।
এজন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাবে ব্লগে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ টা ভালো ভালো আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য। তাছাড়া যারা ব্লগে মাসে ৩-৪ টা কনটেন্ট পাবলিশ করে গুগল সেগুলোকে low quality ভাবে। এই ধরনের কম পোষ্ট করা ব্লগ গুলোকে গুগল তার SERP এ ভালো করে রেংক (rank) করায় না।
এজন্য আপনারা যদি google search engine থেকে ভালো পরিমানে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পেতে চান, তাহালে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।
One page seo এর ব্যাপারে উপরের সকল বিষয় গুলোর ব্যাপারে অবশ্যই নজর দেওয়া জরুলি।